বগুড়ার সোনাতলার জোড়গাছা গ্রামের দক্ষিণপাড়া খালের ওপর নির্মিত ফুট ব্রিজের দুপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এতে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আশপাশের ২২ গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্রিজে উঠে পারাপার হতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে জোড়গাছা ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রাম। ওই গ্রামে দক্ষিণপাড়ায় খালের ওপর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় গত ২০১০ সালে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ফুট ব্রিজ নির্মাণ করে। দুপাশে সংযোগ সড়কের জন্য মাটি ভরাট করা হয়নি। এরপর থেকে ওই এলাকা ও আশপাশের জনগণকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।
মিজানুর রহমান, সোহেল মিয়া, শাকিল আহমেদ, মতিউর রহমান প্রমুখ জানান, তাদের এলাকাটি কৃষিনির্ভর। প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষি পেশার ওপর নির্ভরশীল। তারা তাদের উৎপাদিত ফসল ও কৃষি পণ্য সংযোগ সড়কহীন ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে আনা-নেওয়া করতে পারেন না। ফলে তাদের বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যয়ে তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এছাড়া তাদের ব্রিজের দুপাশের বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
তারা আরও বলেন, ভোটের আগে জনপ্রতিনিধিরা ফুট ব্রিজ সংস্কার ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের আশ্বাস দেন; কিন্তু ভোটের পর তারা সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছরে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি বাস্তবায়ন হয়নি।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় জোড়গাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাদের দোসরদের মাধ্যমে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ফুট ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্রিজে ফাটল দেখা দেয়। এছাড়া সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করা হয়নি। আর ব্রিজের দুপাশে সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় তাদের বাঁশের সাঁকো বানিয়ে তার ওপর দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার জানান, তিনি সম্প্রতি এ উপজেলায় যোগদান করেছেন। জোড়গাছার দক্ষিণপাড়ায় ফুট ব্রিজের ব্যাপারে কেউ তাকে অবহিত করেনি। খোঁজ নিয়ে ব্রিজটি মেরামত ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।