নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শ্রমিকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে মালিকপক্ষ জানতে চাওয়ায় পৃথক দুটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে সাধারণ শ্রমিকদের ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকটি কারখানার গ্লাস ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

তখন অন্যান্য গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয় এবং সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করেন।

রোববার দুপুরে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় টাগারপাড় এলাকায় অবস্থিত আরএন টেক্স ও শাসনগাঁও এলাকায় মাদার কালার গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মাদার কালার গার্মেন্টসে রিপন নামের একজন অপারেটর চার দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে শনিবার লাইন সুপারভাইজার মিজান তাকে ধমক দিয়েছিল। এতে মিজান ও রিপনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মাদার কালারের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে পাশের বেস্ট স্টাইল গার্মেন্টসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে শ্রমিকদের বের করে বাহিরে নিয়ে যায়। তখন পাশের আরএস নামে আরেকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ না দিয়ে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে দুপক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের  ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

মাদার কালার গার্মেন্টসের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিন ম্যানেজার শাহনেওয়াজ জানান, মাদার কালার গার্মেন্টসের গেটে ছুটির নোটিশ টাঙানো হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে গার্মেন্টস খোলা হবে।

অপরদিকে টাগারপাড় এলাকায় অবস্থিত আরএন টেক্স গার্মেন্টসে একজন আয়রনম্যান কাজে অনুপস্থিত থাকায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যানেজার অ্যাডমিনকে লাঞ্ছিত করে। এ নিয়ে মালিকপক্ষ ৫৭ জন শ্রমিক ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের এসপি আসাদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হবে।