রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা বিএনপির আহবায়কের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে সাবেক পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজহ ৩১২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফকরুল হাসান বাবুল বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশবপুর গ্রামে পুরাতন বাড়িতে ফকরুল হাসান বাবলু ও তার দুই ভাই লাবু হোসেন ও মিঠু হোসেন পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়ির মধ্যে দুটি ও বাড়ির সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। বাড়ির লোকজন বিকট শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখতে পান, কিছু লোক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়ির দক্ষিণ দিকে চলে যায়। পরে তাদের পেছনে গেলেও কাউকে আর পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফকরুল হাসান বাবুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরে নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সব দলের লোকজন নিয়ে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করেছি; কিন্তু অতি উৎসাহী কিছু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নানাভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। তারা এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য রাতের আঁধারে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

মামলা সম্পর্কে বাঘা থানার তদন্ত কর্মকর্তা সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে ৩১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পাকুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।