Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিজিবি সদস্যদের মারধর ও মহিষ ছিনতাই, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম

বিজিবি সদস্যদের মারধর ও মহিষ ছিনতাই, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মারধর করে দুটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে শনিবার রাতে বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ি বিশেষ ক্যাম্পের মো. শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

আসামিরা হলেন- উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), সাবেক বিএনপি ওয়ার্ড সভাপতি মো. আক্কাশ (৫৯), তার জামাতা মো. জীবন (৩৩), ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. বাবলু (৫০) ও তার ছেলে মো. ডলার (৩২), একই ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ছেলে মো. জনি (৩৫) ও তার ভাই মো. টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. জনি (৪০) ও পবার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- বিজিবি সদস্যরা জানতে পারেন, নাজিরপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে চোরাইপথে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশের জঙ্গলে রেখেছেন। এ খবরে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে গেলে মুকুল কৌশলে পালিয়ে যান। তাকে না পেয়ে বিজিবির সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে রাজাবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে আসছিলেন।

আসার পথে বিএনপির ওই নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন এবং মহিষ নিয়ে যেতে বাধা দেন। 

‘মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে’ বলেও হুমকি দেন তারা। একপর্যায়ে তারা বিজিবি সদস্যদের ধাক্কা দেন এবং কিল-ঘুসি মেরে টেনেহিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনার পর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আক্কাশের মোবাইলে ফোন করা হলে তার ভাই মো. শরীফ কথা বলেন। তিনি জানান, ‘আমার ভাই বাড়িতে নাই। মহিষ নিয়ে আসলে কী হয়েছে, আমি সঠিক বলতে পারব না’।

গোদাগাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, বিজিবি সদস্যদের মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষ দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম