বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, সংস্কার করবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। সংস্কার কমিশন একটা প্রস্তাবনা দিবেন সেটি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্ট দরকার। আর সেই অ্যামেন্ডমেন্টের জন্য একটা সংসদ দরকার। 

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় শনিবার বিকালে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা এ বছরই জাতীয় নির্বাচন হোক। বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন হতে পারে। কারণ নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে এবং সংস্কার কমিশন প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে তাই সংসদ নির্বাচন দ্রুত করা সম্ভব। আর সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। 

কায়সার কামাল বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ সেখানে জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এক সঙ্গে বসবাস করে। এ দেশে দল হিসেবে আমরা বিএনপি মনে করি, এখানে নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই বাংলাদেশি। যে কারণে আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সমস্ত জাতি-উপজাতি গোষ্ঠী পাহাড়-সমতল সবারই সমানভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। একজন যদি বিরোধী মত থাকে, তারও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। একজন মত প্রকাশে বাধাগ্রস্থ হোক এটা কোনভাবে কাম্য নয়। আমাদের সংবিধানেও তা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। কিন্তু সম্প্রতি ‘আদিবাসী শিক্ষার্থী-জনতা’র কর্মসূচিতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান ফ্যাসিস্ট বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি সাড়া বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে ফ্যাসিস্ট রেজিম বিরোধী যে আন্দোলন ছিল ছাত্র জনতার নেতৃত্বে,  শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। জনগণের প্রত্যাশা এবং অজস্র নেতা-কর্মী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশে উনাকে বরণ করতে। দেশে আসার ব্যাপারে তার আইনগত কোনো বাধা বা ঝামেলা নেই। আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো, তিনি (তারেক রহমান) আইনের শাসনের প্রতি বিশ্বাসী ও শ্রদ্ধাশীল। তার মামলা আইনগতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। তিনি যে কোনো সময় দেশে আসতে পারেন।

শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কলমাকান্দার নাজিরপুর ঈদ গাঁ মাঠে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ অনুষ্ঠানটিতে সহযোগিতা করেছে ডক্টর অ্যাসোসিয়শেন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। দিনব্যাপী চলা এই চিকিৎসা ক্যাম্পে কলমাকান্দা ও পাশের দুর্গাপুর থেকে আসা অন্তত পাঁচ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। এতে ঢাকা পিজি হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে আসা অন্তত ৪৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন।