অভয়নগরে ৪ ট্রাক সার কেলেঙ্কারির তিন দিন পর মামলা
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
যশোরের অভয়নগরে আটক হওয়া চার ট্রাক সার ছাড়িয়ে নিতে চাপ ও চলে বিভিন্ন ধরনের দেন-দরবার। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আটকের তিন দিন পর সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়।
শুক্রবার রাতে উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার প্রসেন মন্ডল বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
আসামিরা হচ্ছেন- বরিশালের উজিরপুরের তানিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক ভবতোষ সমাদ্দার, নওয়াপাড়া স্টেশন বাজারের মিতা এন্টারপ্রাইজের মাহাবুব, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার জুয়েল ট্রেডার্সের মালিক শাহাবুদ্দিন, ঝালকাঠি সদরের বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক নাজমুল আলম নাবিল, নওয়াপাড়া স্টেশন বাজারের এসএস ট্রান্সপোর্টের মালিক বাবু রাব্বি ছানি, রাজবাড়ী সদরের রাজ্জাক ট্রেডার্সের মালিক আবদুল ওহাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বন্ধন ট্রেডার্সের মালিক মকিব উদ্দিন, নওয়াপাড়া স্টেশন বাজারের সাদিয়া ট্রান্সপোর্টের মালিক মনিরুজ্জামান, নাটোর সিংড়ার মেসার্স আবু বক্কার সিদ্দিকীর মালিক এএফএম মাহাবুব, রাজশাহীর দুর্গাপুরের এসএস এন্টারপ্রাইজের মালিক কামাল উদ্দিন, নাটোর সিংড়ার আশুতোষ কুমার সাহা।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে চারটি ট্রাকসহ ১ হাজার ৭৬০ বস্তা ডিএপি সার আটক করা হয়।
কাগজপত্র দেখে জানা গেছে, বরিশালের উজিরপুরের তানিয়া এন্টারপ্রাইজের ৪৪০ বস্তা সার, ঝালকাঠি সদরের বিসমিল্লাহ স্টোরের ৪২০ বস্তা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বন্ধন ট্রেডার্সের ৪৫০বস্তা, রাজশাহী দুর্গাপুরের এসএস এন্টারপ্রাইজের ৪৫০ বস্তা ডিএপি সার চারটি ট্রাকে লোড করা রয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, নওয়াপাড়া থেকে সারগুলো বোঝাই করে ঝালকাঠি যাওয়ার কথা ছিল। তবে সারগুলো ঝালকাঠি না নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছিল। আটকের পর তিনি দীর্ঘ সময় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। কাগজপত্র সঠিক না পাওয়ায় ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
দীর্ঘদিন থেকে বিসিআইসি ডিলার ও একটি চক্র সরকারি বরাদ্দের নন-ইউরিয়া সার বরাদ্দকৃত এলাকায় না নিয়ে সরকারি মূল্যের চেয়েও বস্তাপ্রতি ৩ থেকে ৪শ টাকা হারে বেশি দামে বিক্রি করে আসছে। কৃষকরা সেই সার সরকারি মূল্যে কিনতে না পেরে বেশি দামে কিনে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।