বিএনপি নেতার আগমনে কর্মীদের শোডাউন, হাইব্রিড বলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
ভৈরবে বিএনপির দুইপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন। এছাড়া এ ঘটনায় ৫-৬টি দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ভৈরব শহরের চন্ডিবের হাসপাতাল সংলগ্ন পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুবদল নেতা ও সাবেক সভাপতি আকবর মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার ছেলে রাতুল (২৭)।
অপরদিকে আহত হন সাবেক কাউন্সিলর বিএনপির নেতা আনার মিয়ার পক্ষের জসিম মিয়া (৩৫)। আহতদের দুইজনকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের আগমনকে কেন্দ্র করে চন্ডিবের এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা লোকজন নিয়ে জড়ো হয়। এ সময় ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুবদল সভাপতি হাজী আক্তার মিয়ার পক্ষের লোকজন ও পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আকবর মিয়ার ছেলে ওয়ার্ড যুবদল নেতা শফিকুল ইসলামের লোকজনের মধ্য কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এক নেতাকে হাইব্রিড নেতা ডাকাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা শফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতা। পরবর্তীকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত বিএনপির যুবদল নেতা শফিকুল ইসলামের শালি বিউটি বেগম বলেন, আমার দুলাভাই সকালের দিকে বিএনপির নেতা আলম সাহেবের অনুষ্ঠানে লোকজন নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর ওয়ার্ড যুবদল নেতা আক্তার মিয়া, আসাদ মিয়া ও তার লোকজন মারধর করে। এ সময় দা দিয়ে নাক-মুখে কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করেন। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করছি।
স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি হাজী মো. আক্তার মিয়া বলেন, কথা কাটাকাটি নিয়ে হঠাৎ করে শফিকুল ইসলামের লোকজনের সঙ্গে আমাদের লোকজনের ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাটি বিএনপির নেতারা এসে মিটিয়ে দেন। পরবর্তীতে পুনরায় তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে যান।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজিনা পারভীন জানান, মারামারির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের ২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। দুটি পক্ষ একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কথা কাটাকাটি করে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় বলে তিনি জানান। কারও অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।