বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় প্রতি রাতেই যন্ত্রণায় ছটফট করছে কুমিল্লার ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মো. আরফান হোসেন মজুমদার (১৪)।

আরফান সিনিয়র ছাত্রদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। গত ৩ আগস্ট সিনিয়র ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কুমিল্লায় পুলিশ লাইনে মিছিলে যোগ দেন আরফান। আন্দোলনের সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে অতর্কিত হামলা ও গুলি চালায়। ওই সময় আরফান হোসেন মজুমদারের মাথায় ও পিঠে প্রায় ২০০-২৫০ ছররা গুলিবিদ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। তাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চলমান রয়েছে; কিন্তু দীর্ঘ ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সে প্রতি রাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার যন্ত্রণায় ছটফট করছে।

তরুণ ছাত্র আরফান বলেন, আমি একজন ছাত্র। এটাই আমার প্রকৃত পরিচয়, আমার সিনিয়র ভাইয়েরা যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তখন আমিও ঘরে বসে থাকতে পারিনি। তাদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি; কিন্তু আমি এখন প্রায়ই অসুস্থ হয়ে দিনাতিপাত করছি; দুখের বিষয় আমাকে এখনো কোনো ছাত্র সমন্বয় এবং কোনো প্রশাসন খবর নেয়নি। তবে আমাকে একটু খবর নিলে মনে শান্তি পেতাম।

এ ব্যাপারে আহত আরফানের পিতা সাংবাদিক মো. জুয়েল রানা মজুমদার বলেন, আমার ছেলে আন্দোলন যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমি সরকারি-বেসরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি আমার সাধ্যমতো ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখনো তার মাথায় কিছু ছররা গুলি রয়েছে, যা চিকিৎসাধীন আছে। আমি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও কুমিল্লা জেলা সমন্বয়কদের কাছে অনুরোধ জানাই- তারা যেন পরবর্তী আহত তালিকায় আমার ছেলের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।