তানোরে খাসপুকুর ভরাট
মূলহোতাসহ বিএনপি নেতাকে বাদ দিয়ে মামলা দায়ের!
ইমরান হোসাইন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
রাজশাহীর তানোরে সাইনবোর্ড দিয়ে খাসপুকুর ভরাটের খবর প্রকাশের পর অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি উপজেলার মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক উপসহকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় মামলাটি দায়ের করেন; কিন্তু মামলা রুজু করার চারদিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউপির হাপানিয়া গ্রামে তিন বিঘা পরিমাণের একটি পুকুর সাইনবোর্ড দিয়ে ভরাট শুরু করেন স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালীরা। এ পুকুরের ৫৬ শতক সরকারি প্রপার্টি। আর বাকি অংশ ব্যক্তি মালিকানার। তবে পাড় ভেঙে দ্বিগুণ হয়েছে পুকুরটি। কাগজে যার শ্রেণি ভিটা ও ডোবা।
পুকুরটি ভরাটের খবর পত্রিকায় প্রকাশের পর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা সাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে তানোর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা এলাকার গুশিরাপুকুর ধীনগর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল উদ্দিনের ছেলে বদর আলী (৪৬) এবং একই এলাকার তেলিপাড়া নামোশংবাটীর বাসিন্দা মৃত অধীরের পুত্র শ্রী সুশান্তকে (৪৭)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খাসপুকুর ভরাটের মূলহোতা ও ইন্ধনদাতা বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হেনা ও বিএনপি নেতা সেলিম উদ্দিন; কিন্তু মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা সাহাদাৎ হোসেন তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলায় হেনা ও সেলিমের নাম দেননি।
তবে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন সাহাদাৎ হোসেন। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওপর মহলের নির্দেশ মোতাবেক থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এসআই সনাতন হলদারকে মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তিনি জরুরি কাজে বাইরে অবস্থান করায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।