Logo
Logo
×

সারাদেশ

১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে বাড়ির সামনে রেখে যায় বাইকচালক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে বাড়ির সামনে রেখে যায় বাইকচালক

দশ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মোটরসাইকেলচালক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর শিশুকে বাড়ির সামনে রেখে চলে যায় বাইকচালক। আহত শিশুকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার কুলইরচর গ্রামে বুধবার রাতে।

জানা গেছে, উপজেলার কুলইচর গ্রামের ১০ বছরের শিশুর বাবা ও মা কুকুয়া ইউনিয়নের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের প্রতিবেশী রফিক হাওলাদারের জামাতা নুরুল ইসলামের মোটরসাইকেলে শিশুকন্যাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পথিমধ্যে মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম শিশুটিকে জঙ্গলে ধর্ষণ শেষ বাড়ির সামনে রেখে চলে যায়। শিশুটির অভিযোগ ধর্ষণ শেষে নুরুল ইসলাম তাকে শাসিয়ে যায় এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করে ফেলবে।

শিশুটি ভয়ে ওই রাতে পরিবারের কাউকে জানায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটি শরীরের যন্ত্রণা সইতে না পেরে দাদির কাছে বলে দেয়। পরে স্বজনরা শিশুটিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের প্রেরণ করেছে। বর্তমানে শিশুটি ওই হাসপাতালে গাইনোক্লোজি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনা চাউর হয়ে গেলে ঘাতক মোটরসাইকেলচালক নুরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। শিশুটি ওই এলাকার একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।

শিশুটির বাবা বলেন, মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম আমার প্রতিবেশীর মেয়ের জামাই। সরল বিশ্বাসে আমার মেয়েকে ওর সঙ্গে বাড়ি পাঠিয়েছিলাম; কিন্তু পথিমধ্যে নুরুল ইসলাম আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি অসুস্থ।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম