ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের সময় ভিডিও করায় পিটুনিতে প্রবাসীর মৃত্যু
গাজীপুর ও কাপাসিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
গাজীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে গত সোমবার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকে পেয়ে ছাত্রদল কর্মীরা মারধর করেন। ওই ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ এনে এক প্রবাসীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত ওই প্রবাসী এনামুল দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান।
এদিকে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদি স্কুল মাঠে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করার সময় ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ তার স্মার্ট কার্ড আনতে গেলে সেখানে থাকা স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদল নেতাদের হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় ভিডিও ধারণের অভিযোগে প্রবাসী এনামুলকে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেন ছাত্রদল নেতা রবিন, বকুলসহ তাদের সহযোগীরা। দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান তিনি।
এনামুল হক চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত ৩ মাস আগে ছুটিতে আসেন। চলতি মাসে তার মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার কথা ছিল। এনামুল হকের স্ত্রী ও ৬ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
এনামুলের স্ত্রী নাজমীন আক্তার বৃষ্টি বলেন, সোমবার জাতীয় পরিচয়পত্রের খোঁজ নিতে ভাকোয়াদি স্কুলে যায়, সেখানে একটি মারামারি হচ্ছিল এবং এনামুল পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মারামারির সময় সে ভিডিও করছিল এমন অভিযোগ এনে কয়েকজন তাকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আসেন। গতকাল তার অবস্থার অবনতি হলে রাতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামাল হোসেন বলেন, ওই দিনের ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হলেও বৃহস্পতিবার সকালে চাপা মারের কারণে হঠাৎ নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।