নবাবগঞ্জে সঞ্জয় সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য স্কুলে যাওয়ার পথে ছেলে প্রতীক সরকারকে অপরণ করা হয়। একটি এনজিওর পরিচালক সঞ্জয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে অপহরণকারীদের টার্গেটে ছিলেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে।   

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমিনুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অপহৃত প্রতীকের বাবা সঞ্জয় সরকার স্থানীয় একটি এনজিও পরিচালনা করেন। তিনি প্রাপ্তি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক। ছেলেকে অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করাই চক্রটির টার্গেট ছিল।

সূত্র জানায়, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বান্দুরা হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র প্রতীককে স্কুলে যাবার পথে অপহরণ করে চক্রটি। প্রায় এক ঘণ্টা পর দোহারের সাইনপুকুরে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় চেকপোস্টে মাইক্রোবাস থামিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় স্কুলছাত্র প্রতীককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে নবাবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শরীয়তপুরের নড়িয়ার পারভেজ আহমেদ (৪০), শরীয়তপুরের জাজিরার মোক্তার হোসেন আকাশ (৩৯), মুন্সীগঞ্জের লৌজংয়ের আতিক হাওলাদার ওরফে আরিফ (৪৪), জুরাইন পশ্চিম ধোলাইপাড়ের জুম্মন খান (৪১) ও গাড়ীচালক চাঁদপুরের কচুয়ার মো. মিজান (৫৩)।

এ ঘটনায় বুধবার রাত ১১টায় নবাবগঞ্জ থানায় অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন স্কুলছাত্রের মা লতা সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।