ইটভাটায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৩ শ্রমিককে মারধর
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
ইটভাটার মালিক আনোয়ার মৃধার আদেশে শ্রমিকরা কাজ না করায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মর্জিনা বেগম (২৫), মাকসুদা বেগম (৩৮) ও নাঈমকে (১৮) মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নারী শ্রমিক মর্জিনার স্বামী সুমন এ অভিযোগ করেছেন।
ইটভাটার মালিক আনোয়ার মৃধা বলেন, কথামতো কাজ না করায় দু-একটি কিলঘুসি মারা হয়েছে। বুধবার রাতে আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকায় মেসার্স আজাদ ব্রিকস (এমএবি) ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকার মেসার্স আজাদ ব্রিকসের (এমএবি) মালিক আনোয়ার মৃধা শ্রমিকদের বুধবার রাতে মাটি মেশানোর কাজ করতে নির্দেশ দেন। এ সময় শ্রমিক বশির সিকদার, তার ছেলে নাঈম ও সুমন রাতে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইটভাটার মালিক আনোয়ার মৃধা ও তার লোকজন শ্রমিক বশির সিকদারের ছেলে নাঈম ও সুমনকে মারধর শুরু করেন। সুমনকে রক্ষায় তার ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও নাঈমের মা মাকসুদা বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করে। এতে মর্জিনা বেগম, মাকসুদা ও নাঈম আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
শ্রমিক বসির সিকদার বলেন, রাতে ইটভাটার মালিক আনোয়ার মৃধা মাটি মেশানোর কাজ করতে বলেন। এতে আমরা রাজি না হওয়ায় মালিক আনোয়ার মৃধা বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে শ্রমিক সুমনের ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মর্জিনা, আমার স্ত্রী মাকসুদা ও ছেলে নাঈমকে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
শ্রমিক সুমন বলেন, আমার ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মালিক আনোয়ার মৃধা বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে মারধর করেছেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।