সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ আত্মগোপনে বাঘার যেসব জনপ্রতিনিধি
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
রাজশাহীর বাঘায় নেই সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। ৫ আগস্টের পর থেকে তারা এলাকায় নেই। ৬ মাস ধরে এলাকায় কোনো সামাজিক কাজে দেখা যাচ্ছে না তাদের।
এর মধ্যে বাঘা উপজেলায় ৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে তারা এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম এমপি, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাছ আলী, আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার আলী, আড়ানী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, বাউসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ তুফান, গড়গড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, মনিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ। তারা নিয়মিত অফিস না করায় তাদের অপসারণ করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারি রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম এমপি পদে নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের ৫ জুন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু, ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌরসভার নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাছ আলী, ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার আলী মেয়র নির্বাচিত হন।
এছাড়া ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম, মেরাজুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ তুফান, সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তারা যথারীতি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর মধ্যে ৫ আগস্টের পর সবাই আত্মগোপনে রয়েছেন। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে তাদের অপসারণের পর উপজেলা পরিষদ ও বাঘা পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার। আড়ানী পৌরসভা, আড়ানী ইউনিয়ন ও বাউসা ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা, বাজুবাঘা ইউনিয়নে বাঘা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম, গড়গড়ি ইউনিয়নে বাঘা প্রোগ্রামার সহকারী এসএমজি আজম, পাকুড়িয়া ইউনিয়নে উপজেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলী, মনিগ্রাম ইউনিয়নে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম।