কুমিল্লায় শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকালে জেলার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় দেন।

এছাড়াও আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত মেহরাজ (২৫) জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার আলী আশরাফের ছেলে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেটের লোভ দেখিয়ে চার বছরের শিশু নাবিলাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে মুড়িয়ে ফেলে রাখে প্রতিবেশী যুবক মেহরাজ। সেদিন নাবিলাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরদিন সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় শিশুর দাদা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ দিন পর আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৭ বছর আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর বুধবার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামি মেহরাজকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পিপি বদিউল আলম সুজন জানান, মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে একমাত্র আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামি মেহরাজ জবানবন্দিতে নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। যে রায় হয়েছে এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

হত্যাকাণ্ডের শিকার নাবিলার মা হালিমা আক্তার জানান, গত ৭ বছর যাবত মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য আমি আদালতে ঘুরেছি। অবশেষে আসামি মেহরাজের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আমি রায়ে সন্তুষ্ট কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রায় কার্যকর চাই।

আদালতে আসামি মেহরাজের পাশে তার স্বজনদের কাউকে দেখা যায়নি।