শটগান ঠেকিয়ে কলেজছাত্রকে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে সোহাগ ইসলাম (২৫) নামে এক কলেজছাত্রকে শটগান ঠেকিয়ে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপি-যুবদলের কতিপয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অপহরণকারীদের শটগানের গুলিতে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে অপহরণের প্রায় ৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে পুলিশ কলেজছাত্র সোহাগকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অপহৃত সোহাগ চরতারাপুর ইউনিয়নের শুকচর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য তোফাই মেম্বারের ছেলে। তিনি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে অনার্স শেষ করে ঢাকায় চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ রফিকুল ইসলাম অন্তু একই গ্রামের মোফাজ্জল প্রামাণিকের ছেলে। তিনিও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে পড়াশোনা করেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুকচর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন তোফাই দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দুই দিন আগে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে বাড়িতে টাকা রাখে এবং দুই-একদিনের মধ্যে তাকে ঢাকায় নেওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সোহাগ। এ সময় সন্ত্রাসীরা এসে প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন; কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে একদল সন্ত্রাসী শটগান ঠেকিয়ে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে সোহাগের চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম অন্তুকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে।
গুলিবিদ্ধ রফিকুল ইসলাম অন্তুর মা মোছা. মায়া খাতুন বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। দেওয়া হয়নি, এজন্য আমার ভাসুরের ছেলে সোহাগকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমার ছেলে এগিয়ে গেলে শটগান দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং পরে গুলি করে। এখনো তার মাথায় গুলি রয়েছে। ডাক্তার অপারেশন করে বের করার কথা বলেছেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণের ঘটনা জানতে পেরে আমরা রাতে ওই এলাকায় অভিযানে গেলে চাপের মুখে তাকে ফেরত দেয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একজনের মাথায় গুলির ঘটনায় কাজ করছে পুলিশ।