Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাবেক এমপি বাবু দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা

Icon

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ পিএম

সাবেক এমপি বাবু দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা

খুলনার কয়রায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, দুই ইউপি চেয়ারম্যান, তিন কর্মকর্তাসহ ১১ পুলিশ সদস্যের নামে আদালতে মামলা হয়েছে।

মিথ্যা মামলায় হয়রানি, ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের সরিষামুট গ্রামের বাসিন্দা মো. নূরুল ইসলাম। তিনি একজন শিক্ষক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম বাহারুল ইসলাম, বাগালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ গাজী, একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার পাড়, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন, এএসআই আশরাফুজ্জামান ও নাসির উদ্দিন, আট পুলিশ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী, আইনজীবী এবং জনপ্রতিনিধিসহ ১০৮ জন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা বিভিন্ন সময়ে বাদীর কাছে চাঁদা দাবি করত এবং হুমকি দিত। মামলায় জড়িত থাকা পুলিশ সদস্যরা নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোসহ ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চাঁদা গ্রহণ করত। একটি মামলায় খুলনা জেলা আদালতে হাজিরার জন্য যাওয়ার পথে আসামিরা দা, লাঠি, শাবল, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মসজিদকুড় ব্রিজের দুই পার্শ্ব আটকে রেখে খাদ্যসামগ্রী, নগদ টাকা, ঘড়ি, স্বর্ণের আংটি, চেইন লুটপাট করে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাদীর বসতঘরে ঢুকে বাদীর স্ত্রী ও পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাংক ভেঙে নগদ অর্থ লুটপাট করে।

মামলার বাদী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদা আদায়সহ ঘরবাড়ি লুটপাট করেছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করছি ন্যায়বিচার পাব।

বাদীর আইনজীবী আবুবকর সিদ্দিক বলেন, মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। আশা করি ন্যায়বিচার পাবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম