বেক্সিমকো শ্রমিকদের নবীনগর-চন্দ্রা মহসড়কে ১৫ কিমি. মানববন্ধন
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
আশুলিয়ায় ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান ও বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘজুড়ে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মানববন্ধন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আশুলিয়ার নবীনগর থেকে বাড়ইপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। দুপুর ১টার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা জানান, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার কারণে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। তাই তাদের দাবি বন্ধ হওয়া সব কারখানা খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং সুবিধাসহ নানা দাবি জানিয়ে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
এছাড়া শ্রমিকরা আরও জানান, তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। দাবিগুলো হলো- আমদানি-রফতানি ও কোম্পানি সচল রাখতে এলসি সুবিধা প্রদান, অতিসত্বর লে অফ তুলে কোম্পানির সব কার্যক্রম স্বাভাবিক করা এবং সব বকেয়া বেতন অতিসত্বর পরিশোধ করা।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের (বিজিডি) সহকারী ব্যবস্থাপক আলিম উদ্দিন জানান, বেক্সিমকোর সব কারখানা খুলে দেওয়ার জন্যই আজকের এ মানববন্ধন।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সব কারখানা খুলে দেওয়া এবং সব এলসির ব্যবস্থা করা এবং ক্রয়াদেশ পেতে যা যা করা দরকার তার দাবি জানান। এসব দাবি না মানা হলে আমরা আবার আগামী শনিবার কর্মসূচিতে যাব।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু জানান, সরকারের উচিত হবে শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে শ্রমিকদের স্বার্থে একটা সুষ্ঠু সমাধান বের করা। যাতে করে এই শ্রমিকদের সড়কে নামতে না হয়। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে কোনো তৃতীয় পক্ষ যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাজীপুর অঞ্চল) আবু হাসান মিয়া জানান, বেক্সিমকোর শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে মহাসড়কের পাশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছেন। রাস্তাঘাটের যানবাহন চলাচল যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য রাস্তায় মোতায়েন রয়েছেন।