মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটগামী কে-টাইপ (মাঝারি) ‘ফেরি বাইগার’ থেকে অজ্ঞাত এক নারী যাত্রী পদ্মা নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। ওই নারী যাত্রীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার কোনো পরিচয়ও পাওয়া যায়নি।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।  

পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাইগার ফেরিতে থাকা কুষ্টিয়াগামী লালন পরিবহণের তত্ত্বাবধায়ক সাইদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে তাদের ফেরিটি দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ফেরিটি মাঝ নদীতে পৌঁছার পর ফেরির অগ্রভাগে বাম পাশের পকেটের কাছে অপেক্ষমাণ বোরকা পরা এক নারী হঠাৎ পদ্মা নদীতে লাফ দেন। তার পরনে বোরকা পরা ও মাথায় সাদা রঙের স্কার্ফ পরিহিত ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তার নিজের লালন পরিবহণে খোঁজ নিয়ে দেখেন ওই পরিবহণের যাত্রী নাই। অন্য কোন পরিবহণের যাত্রী বা কিভাবে ফেরিতে উঠেছে তা তিনি বলতে পারেন না। ফেরিটি পৌনে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে ভিড়লেও ততক্ষণে পদ্মা নদীতে লাফ দেওয়া ওই নারীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের সংবাদ পেয়েছি। আমাদের লোকজন খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত ওই নারীর কোনো সন্ধান পাইনি।

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, এ ধরনের খবর শুনে আমাদের নৌ পুলিশের সদস্যরা দৌলতদিয়া থেকে পদ্মা নদীতে খোঁজ খবর নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ নারীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধান পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।