Logo
Logo
×

সারাদেশ

সোনাতলায় দুটি খাদ্যগুদামে এক গ্রাম ধানও কিনতে পারেনি যে কারণে

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ পিএম

সোনাতলায় দুটি খাদ্যগুদামে এক গ্রাম ধানও কিনতে পারেনি যে কারণে

বগুড়ার সোনাতলায় হাট-বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারি খাদ্যগুদামে বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা তাদের কষ্টার্জিত ধান বেশি দামে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। ফলে উপজেলার দুটি খাদ্যগুদামে ধান কেনায় কৃষকের সাড়া মেলেনি। এতে গুদামে এক গ্রাম ধানও কেনা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি আমন মৌসুমে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় দুটি খাদ্যগুদামে ৬৬৯ মেট্রিক টন ধান ও ৯৯৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। প্রতি কেজি চালের দাম ৪৭ টাকা ও প্রতি কেজি ধানের দাম ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ বাজারে প্রতি কেজি চাল ৫৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা এবং ধান প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই বাজারের চেয়ে সরকারি সংগ্রহ দর কম হওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান চাল সংগ্রহে কৃষকদের কোন সাড়া মিলছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে এ উপজেলায় সরকারিভাবে ধান ও চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করা হয়। এখন পর্যন্ত সোনাতলা কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম এবং হরিখালী খাদ্যগুদামে কৃষকরা কোনো ধান বিক্রি করেননি।

সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মোকাররম হোসেন ও শরিফুল ইসলাম বলেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে গিয়ে আর্দ্রতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়। আবার ধান বিক্রির টাকা নিতে গেলে ব্যাংক হিসাব খুলতে হয়। তাই এসব ঝামেলার কারণে কৃষকরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এছাড়া সরকারি সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় কেউ ধান দিতে চাইছেন না।

এ প্রসঙ্গে সোনাতলার হরিখালী খাদ্যগুদামের ওসি এলএসডি আবু সাইদ খন্দকার বলেন, এখন পর্যন্ত গুদামে এক ছটাক ধানও কেনা সম্ভব হয়নি।

একই কথা বলেন, সোনাতলা খাদ্যগুদামের ওসি এলএসডি জালাল উদ্দিন সরকার।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহ মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান বলেন, চলতি বছর এ উপজেলায় সরকারি খাদ্যগুদামে কোনো ধান কেনা সম্ভব হয়নি।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের সাড়া মিলছে না।

তিনি বলেন, তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ ভাগ চাল কেনা সম্ভব হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম