বাগমারার গণিপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে গভীর নলকূপের স্কিমের সীমানার মধ্যে সোলার প্যানেল স্থাপন করে ওই স্কিমের দেড় হাজার বিঘা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক এবং উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে বাগমারা গ্রামের আবুল কাসেম, কাবুল হোসেন ও আব্দুর রহমানসহ শতাধিক কৃষক স্বাক্ষর করেছেন।

জানা গেছে, বাগমারা থানাসংলগ্ন গণিপুর ইউনিয়নের বাগমারা মৌজায় ১৯৮৭ সাল থেকে এলাকার কৃষকরা ৫টি গভীর নলকূপ এবং ৫টি অগভীর নলকূপ (এলএলপি) স্থাপন করে সেচের মাধ্যমে বোরো ধানসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষাবাদ করে আসছেন। এছাড়া কৃষকরা নিজ উদ্যোগে নদী থেকে বিল পর্যন্ত আন্ডার গ্রাউন্ড ড্রেনও নির্মাণ করেছেন। অথচ ওই স্কিমের সীমানার মধ্যে কৃষক দলের সভাপতি আফজাল হোসেনসহ এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষমতার দাপটে ওই স্কিমের সমস্ত জমি দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিএমডিএর অধীনে সোলার প্যানেল স্থাপনের উদ্দেশ্যে ঘর নির্মাণ করেছেন এবং রাতের অন্ধকারে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে গণিপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, এতদিন আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সেচ সুবিধা দেওয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে কৃষকদের শোষণ করে আসছিল। তাই কৃষকদের শোষণের কবল থেকে রক্ষা করতে কম খরচে সেচ সুবিধা দেওয়ার জন্য সোলার প্যানেল স্থাপনের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম সোমবার যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।