দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে নিরীক্ষা কাজে এসে অডিট টিমের সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডের ঘুস লেনদের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। রোববার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে দুদকের একটি টিম প্রায় দিনভর অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এমন কথা জানান টিমের প্রধান দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন।

রোববার বিকালে দুদক সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। শিক্ষা বোর্ডে কিছুদিন আগে একটি অডিট টিম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অডিট করতে আসে। অডিট টিম কিছু অডিট আপত্তি দিয়ে গেছে এবং অডিট টিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল-যে তারা শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে কিছু ঘুসের লেনদেন করেছে ব্যাংকের মাধ্যমে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি এবং একটি সাসপেক্টেড লেনদেনেরও প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। এছাড়াও শিক্ষা বোর্ডের ক্রয় সংক্রান্ত একটি অভিযোগ ছিল। ক্রয় সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে যাবতীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে আমরা প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করব এবং কমিশন পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আমাদের জানাবে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, অডিট টিমের সঙ্গে লেনদেনের যে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমার বা এই অফিসের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কারও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে কিভাবে, কখন, কোথায় লেনদেন হয়েছে-সেটা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের জানা নেই এবং এ বিষয়ে আমাদের দায় নেই।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধিদল দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে নিরীক্ষা কার্যক্রম করেন। নিরীক্ষা চলাকালে বোর্ডের নানা অনিয়ম ঢাকতে দলকে ২১ লাখ টাকা ঘুস দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও ক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগে রোববার অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের ৪ সদস্যের একটি টিম।

ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এই টিমের সদস্য ছিলেন-দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশার ও আলম মিয়া এবং সহকারী পরিদর্শক শাহজাহান আলী।