Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিদ্যালয় থেকে শিক্ষককে ধরে নিয়ে মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, গাজীপুর

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম

বিদ্যালয় থেকে শিক্ষককে ধরে নিয়ে মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ধরে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময়ে শিক্ষককে রক্ষা করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থীও হামলার শিকার হয়েছেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হলেন চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শাখার সহকারী শিক্ষক মো. বসির উদ্দিন।

পুলিশ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বসির উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার গল্প করছিলেন। এ সময় জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রনির নেতৃত্বে উপজেলার যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিপন আহমেদ, যুবদল কর্মী রাকিব হাসান ও তাজিদ মিয়া লাঠিসোটা নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে। পরে সহকারী শিক্ষক বসির উদ্দিনকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

এ সময় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিজভী আহাম্মেদ সজিব দেখতে পেয়ে রক্ষা করতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে বিদ্যালয়ের দপ্তরিসহ আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

কলেজের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার বলেন, যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম রনি, রাকিব হোসেনসহ কয়েকজন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ওই শিক্ষককে ধরে নিয়ে যায় এবং বেদম মারধর করে।

এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রনি বলেন, ওই শিক্ষক আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত; যার কারণে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

জেলা যুবদলের আহবায়ক আতাউর রহমান বলেন, যুবদলের কোনো নেতা শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামিল হোসেন বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে তাকে বিতাড়িত করতে চাইছে একটি পক্ষ। তারই জের ধরে যুবদলের কিছু লোক ওই শিক্ষককে মারধর করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম