Logo
Logo
×

সারাদেশ

নদের জমি মামাদের দাবি করে বহুতল ভবন নির্মাণ নদীখেকো জাফরের

Icon

নজরুল ইসলাম পলাশ, মাদারীপুর

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬ এএম

নদের জমি মামাদের দাবি করে বহুতল ভবন নির্মাণ নদীখেকো জাফরের

জাফর শেখ রাজৈরের শংকরদি টেকেরহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাংস বিক্রি ছিলেন। এলাকায় পরিচিত জাফর কসাই নামে।

তার আরও একটি পরিচয় হলো- নদীখেকো জাফর। রাজৈরে কুমার নদের জমি মামাদের দাবি করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তিনি।

জাফর বছর দুই আগে বাজারের দোকানের পেছনে কুমার নদের জমি নিজের মামাদের দাবি করে নির্মাণ শুরু করেন বহুতল ভবনের কাজ।

বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ। কিছুদিন পর ফের নির্মাণ কাজ শুরু করলে আবারো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এভাবেই একটু একটু করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জাফর। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শংকরদি টেকেরহাট বাজারের দোকানের পেছনে কুমার নদের জমির ওপর বহুতল ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ফাউন্ডেশন ও গ্রেড বিমের কাজ শেষ করে প্রথম তলার ছাদ পর্যন্ত পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সিঁড়ির কাজ। প্রায় চার শতাংশজুড়ে ভবনের কাজ শুরু করলেও দুদিকে প্রসারিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরে ধীরে ধীরে যাতে আরও জমি দখলে নেওয়া যায়।

বাজার কমিটির সদস্য নাজির আহম্মেদ বলেন, ‘নদী ভেঙে এ পর্যন্ত এসেছে। তাই মনে হয় নদীর পাড়ে এ ভবন তৈরি করছেন কসাই জাফর। তহশিলদার এসে কাজ বন্ধ করতে বলেছেন। কিন্তু তিনি বন্ধ করেননি।’ 

বাজারের ব্যবসায়ী ও শংকরদির বাসিন্দা জহুরুল আলম, কেরামত আলী ও ইসমাইল মোল্লা জানান, ‘মামাদের জমিতে ভবন করছেন বলে দাবি করেন জাফর কসাই। আমরা জানি না এ জমি জাফর কসাইদের মামাদের, নাকি সরকারি সম্পত্তি। তবে ছোটবেলা দেখেছি এখানে কৃষি জমি ছিল। এ জমিতে বিভিন্ন ফসল হতো। এ জমি বাজার কমিটি দাবি করলে কমিটিকে দেওয়া হয়। তাই বাজার কমিটি টিনের ঘর তুলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জমির মালিক জাফর কসাই, নাকি বাজার কমিটি, না সরকার সেটা জানা নেই আমাদের।’

এ বিষয়ে জাফর কসাই বলেন, ‘এ জমি আমার মায়ের সম্পত্তি। নদীর অপর পাড়েও আমাদের মায়ের জমি আছে। আমি আমার জমিতে ভবন নির্মাণ করছি। নাজির এসে দেখে গেছেন। তিনি আমাকে বাধাও দেননি আবার করতেও বলেননি। আমি আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুল হক বলেন, ‘স্থানীয় অনেকেই বিভিন্ন সময় কুমার নদের জমি দখল করেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কুমার নদ দখলমুক্ত করতে দখলের স্থানগুলো চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে এখন জাফর কসাই নামে কেউ নদের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি দেখব। যদি কেউ সরকারি কোনো জমি বা নদী দখল করার চেষ্টা করেন তাহলে আমরা বাধা দেব।’ 

দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাধা দেওয়া ছাড়া আর কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা আমার জানা নেই।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম