ময়মনসিংহের ত্রিশালে মোটরসাইকেলচালক জুবায়েদ আহমেদ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বৃহস্পতিবার নগরীর পিবিআই কার্যালয়ে পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বুধবার জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাট্টাজোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতাররা হলেন- নাজমুল ইসলাম, আবুল কাশেম ওরফে সোনা মিয়া ও আব্দুল আজিজ ওরফে আনিছ। এ সময় জুবায়েদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ সুপার জানান, ৩০ ডিসেম্বর উপজেলার বৈলর কামারপাড়ায় পুকুর থেকে অজ্ঞাতনামা একব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পিবিআই। ক্রাইমসিন টিম ডিজিটাল ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে জুবায়েদের পরিচয় শনাক্ত করে। তিনি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের সামাদ তালুকদারের ছেলে। 

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজহারুল ইসলাম ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্ত শুরু করে পিবিআই; পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

মামলার তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, আসামি নাজমুলের বাড়ি ত্রিশালের বৈলরে। তিনি টঙ্গীতে ওয়েলডিংয়ের কাজ করতেন। ভিকটিম জুবায়েদ মিরপুরের শিয়ালবাড়ী থেকে বাইক রাইডার হিসেবে কাজ করতেন। ২৯ ডিসেম্বর জুবায়েদ ভাড়ার জন্য টঙ্গী স্টেশন রোডের মাথায় দাঁড়ালে সেখানে নাজমুলের সঙ্গে দেখা হয়। নাজমুল টঙ্গী থেকে ময়মনসিংহ শহরে আসা-যাওয়ার কথা বলে জুবায়েদের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন। বৈলরে গিয়ে নাজমুল তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকার কথা বলে ঘটনাস্থলে তাকে নিয়ে যান। সেখানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে জুবায়েদকে হত্যা করেন। পরে তার মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে চলে আসেন।  

সোনা মিয়া এবং আনিছ মোবাইল ও মোটরসাইকেল কেনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।