দাগনভূঞায় মিথ্যা মামলা দেওয়ায় স্বপ্রণোদিত হয়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন বাদী হয়ে দাগনভূঞা আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
আমলি আদালত-৩ এর বেঞ্চ সহকারী গোবিন্দ চন্দ্র দাশ বলেন, ২০২৩ সালের ১৯ জুন দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের উত্তর গণিপুর গ্রামের দেলোয়ার মাস্টার বাড়ির আবুল কাশেম (৬০) তার নিজ ভাই আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে থানায় হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন। আদালতের নির্দেশনায় অভিযোগ তদন্ত করে দাগনভূঞা থানার এসআই অপূর্ব রায় একই বছরের ২৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ মামলার বাদী আবুল কাশেম ও সাক্ষী সামিউর রশীদের (২৫) বক্তব্য রেকর্ড শেষে ঘটনাটি সন্দেহাতীতভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আসামিকে খালাস প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন।
মিথ্যা মামলা দেওয়ায় বাদী আবুল কাশেম ও মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ায় সামিউর রশীদকে আসামি করে বুধবার স্বপ্রণোদিত হয়ে দাগনভূঞা আমলি আদালতে মামলা করেন বিচারক মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন। আমলি আদালত-৩ এর বিচারক ফাতেমাতুজ জোহরা মুনা মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি কাশেম ও সামিউর রশীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ভাই আবুল হাশেম যুগান্তরকে জানান, আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ আমি দোষ না করেও বৈষয়িক বিষয়ে আপন ভাই আমাকে মামলা দিয়ে হেনস্তা করার প্রতিদান দিয়েছেন।
ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিন খান বলেন, ভুয়া মামলার কারণে ব্যক্তি ও রাষ্ট্র নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আদালত ভুয়া মামলার বাদী ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে ভুয়া মামলার সংখ্যা কমে আসবে। এটি সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক বলে আমি মনে করি।