ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা ভাঙ্গা হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

বুধবার ভোরে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের কাফেরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইপক্ষকে শান্ত করে।

এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কাফেরপুর গ্রামের বর্তমান চেয়ারম্যান অলি ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের বর্তমান মেম্বার আউয়াল মাতুব্বরের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে আউয়াল মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে চেয়ারম্যানের দলের নারী-পুরুষসহ ১০ জন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাঙচুর করে।

আহত মিন্টু দাস, রায়হানের স্ত্রী, সাহেব আলী ফকির, প্রশান্ত দাস, তার মা ও শাশুড়ি, তার ভাই সুশান্তকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয় চেয়ারম্যানের চাচা হারুন ফকির বলেন, গত চার-পাঁচ মাস আগে স্থানীয় তাতিবাজারে সজল দাসের ফার্মেসিতে কাফেরপুর গ্রামের প্রশান্ত দাস ওষুধ কিনতে যায়। ওষুধ কেনা নিয়ে সজল দাসের সঙ্গে সুশান্ত দাসের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়।

এ ঘটনা নিয়ে পরদিন স্থানীয় চেয়ারম্যান নেতৃত্বে একটি সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠক চলাকালে বর্তমান মেম্বার আউয়াল মাতুব্বর  সজল দাসের পক্ষ নিয়ে সুশান্ত দাসের লোকজনের ওপর হামলা করে। তখন চেয়ারম্যান ওলি ফকির সুশান্ত দাসের পক্ষ নিলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। সেই থেকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আউয়াল মেম্বারের  বিরোধ চলে আসছিল। সেই শক্রতার জের ধরে আজ আমার বাড়িসহ চেয়ারম্যান বাড়ি এবং  হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করে।

এ বিষয়ে আওয়াল মেম্বার জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার সঙ্গে চেয়ারম্যান অলি ফকিরের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মাঝে দুইপক্ষের মারামারি হয়। মারামারির ঘটনায় ইতোপূর্বে ভাঙ্গা থানায়  দুই পক্ষের ৪-৫টি মামলা হয়েছে। আজ সকালে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা সত্য নয়।

স্থানীয় তুজারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলি ফকির বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকায় আছি। সকালে শুনলাম আউয়াল মেম্বারের লোকজন কয়েকজন হিন্দু লোকদের মারধর করেছে ও তাদের বাড়ি ভাঙচুর করছে। আমার বাড়িসহ আশপাশের দুই-চারটা বাড়ি ভাঙচুর করেছে। 

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এসআই আফজাল হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। বুধবার সকালে মারামারির ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।