Logo
Logo
×

সারাদেশ

টুকুর জামিন নামঞ্জুর, শিক্ষার্থীদের জুতা-ডিম নিক্ষেপ

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম

টুকুর জামিন নামঞ্জুর, শিক্ষার্থীদের জুতা-ডিম নিক্ষেপ

পাবনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দ্রুতবিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সাবেক এমপি শামসুল হক টুকুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আদালতে প্রবেশ ও বের হয়ে যাওয়ার সময়  টুকুকে লক্ষ্য করে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা টুকুর বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।

সোমবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুস্তাফিজুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর রাশিদুল ইসলাম।

এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কারাগার থেকে আদালতে উঠানো হয়। এরমধ্যেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তার গাড়ির ওপর জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করেন এবং  টুকুর বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।

এদিকে গাড়িতে ওঠার সময় শামসুল হক টুকু জানান, তিনি খুব ভালো আছেন এবং পাবনাবাসী ভালো থাকুক বলে মন্তব্য করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন, এ মামলাটি একটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলা, যার কোনো সত্যতা নেই। শুধুমাত্র হয়রানির করার জন্য অসত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে।

পাবনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনার অন্যতম সমন্বয়ক বরকতউল্লাহ ফাহাদ বলেন, টুকু কী করে বলতে পারে তিনি খুব ভালো আছেন? তার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে তিনি শ্বশুরবাড়িতে আছেন! তিনি একজন ফ্যাসিবাদের শীর্ষ কর্তা ও খুনি। জেলের মধ্যেও তার মতো খুনিরা এরকম আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তাদের মতো খুনিদের হাতে হাতকড়া ও পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো উচিত ছিল। আমরা এসব খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবি করি এবং সেটা ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে হতে হবে।

টুকুর নিজ এলাকা পাবনার বেড়ার বৃশালিখার ব্যবসায়ী মীর্জা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে গত ৬ নভেম্বর পাবনার আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় টুকু ছাড়াও তার ভাই সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন, টুকুর ছেলে সাবেক পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জনসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৬ মে অভিযুক্ত সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ অন্যরা ব্যবসায়ী মীর্জা মেহেদী হাসানের মার্কেট, জমি দখলসহ চাঁদাবাজি করেছিলেন। এছাড়া পটপরিবর্তনের পরে গত বছরের ১০ ও ১২ সেপ্টেম্বর টুকুর দোসররা একইভাবে চাঁদাদাবিসহ ওই জমিতে যেতে দেননি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বেড়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম