চকরিয়ায় উপকূলীয় প্যারাবনে নিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্যারাবনে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি মহেশখালী উপজেলার ফকিরাঘোনা এলাকায়। তিনি বাঁশখালী থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন।
কিশোরীর মা ও চাচা বলেন, কিশোরীটি বাঁশখালী থেকে বাসে চড়ে বদরখালী বাজারে যান। সেখান থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে মহেশখালী যাওয়ার পথে বদরখালী ব্রিজের ওপর অটোরিকশাচালক গাড়ি নষ্ট হয়েছে বলে তাকে নামিয়ে দেন। এরপর কিশোরীটি বদরখালী বাজারের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ব্রিজের পূর্ব অংশে প্রথমে দুজন যুবক তার গতিরোধ করেন। পরে আরেকজন যুবক গিয়ে ছুরি দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে ব্রিজের কাছাকাছি উপকূলীয় বেড়িবাঁধের প্যারাবনে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে দুজন, পরে আরও দুজন- এরপর আরও চারজন তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ঘণ্টা দেড়েক পর জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখেন তার চারপাশে কেউ নেই। তখন তিনি পাশের সড়কে উঠেন এবং চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরী সাংবাদিকদের বলেন, গলায় ছুরি ধরে তার মুখ চেপে ধরা হয়। এরপর পাশের জঙ্গলে (প্যারাবন) নিয়ে গিয়ে আটজন তাকে গণধর্ষণ করেন। তাদের হাতে পায়ে ধরেও রক্ষা পাননি। ধর্ষণের শিকার হয়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর আর কোনো কিছু মনে করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া জানান, চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কিশোরীকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। কিছু আলামত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ভিকটিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।