শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রাম থেকে ৬ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১১টার দিকে সাদিয়া বেগম (১৮) নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীর লাশ উদ্ধার করেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। সাদিয়াকে তাদের বসতবাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কে বা কারা কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।

নিহত সাদিয়া বেগম সদর উপজেলার সাহাব্দীচর গ্রামের জনৈক জামাদার মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। 

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার সাহাব্দীরচর গ্রামের কমর আলীর ছেলে জামাদার মিয়ার সঙ্গে তার ভাইসহ একই গোষ্ঠীর অন্যদের সঙ্গে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এদিকে রোববার রাতের কোনো এক সময়ে বাকপ্রতিবন্ধী সাদিয়া বেগমকে তাদের বসতবাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কে বা কারা কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে তার বাবা জামাদার মিয়ার খেতে ফেলে রেখে যায়। 

সোমবার সকালে এলাকাবাসী সাদিয়ার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। পরে শেরপুর সদর থানায় খবর দেওয়া হলে সদর থানার এসআই তারেক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সাদিয়া বেগমের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। 

উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক জানান, এ ঘটনার পর থেকে তার মা ছাড়া বাবা ও পরিবারের লোকজন এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তবে সাদিয়া বেগমের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।