Logo
Logo
×

সারাদেশ

১৫ পুলিশ হত্যার পর লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ১১ বছর আগের ঘটনায় আরেক মামলা

Icon

বেলকুচি-চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম

১৫ পুলিশ হত্যার পর লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ১১ বছর আগের ঘটনায় আরেক মামলা

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে আটকের পর এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলার পর ১১ বছর আগে ১৮ দলীয় জোটের মিছিলে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১১ বছর আগে ১৮ দলীয় জোটের মিছিলে হামলার ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে জোটের মিছিলে হামলার ঘটনায় বেলকুচি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এতে আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে বেলকুচি পৌর সভার সাবেক মেয়র ও যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাস এবং বেলকুচি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান হোসেন, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান লাজুক বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগের ৫৬ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার দুপুরে বলেন, মামলাটি নথিভুক্ত করার পর এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বরের দুপুরের দিকে পৌর শহরের মুকন্দগাতী এলাকা হতে ১৮ দলীয় জোটের একটি মিছিল সোহাগপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে পৌঁছলে হঠাৎ আসামিরা সেই মিছিলে হামলা চালায় । সেই সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে জোটের তিন নেতাকর্মী আহত হন। সেই সময় মামলার পরিবেশ না থাকায় এ বিষয়ে দীর্ঘ দিন পর মামলাটি দায়ের করা হলো।

এদিকে গত ৪ আগস্ট এনায়েতপুর থানায় ১৫ পুলিশ হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় তাকে এনায়েতপুর থানা আমলি আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক ওমর ফারুক মামলার শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে রোববার দুপুরে বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়া নিজ বাসায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম