Logo
Logo
×

সারাদেশ

বরগুনায় সাংবাদিক মাসুদ হত্যা মামলায় অব্যাহতি পাওয়া তিন আসামিকে অন্তর্ভুক্তি

Icon

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম

বরগুনায় সাংবাদিক মাসুদ হত্যা মামলায় অব্যাহতি পাওয়া তিন আসামিকে অন্তর্ভুক্তি

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক তালুকদার মাসুদ হত্যা মামলায় চার্জশিট থেকে বাদ পড়া তিন আসামিকে মামলায়  অন্তর্ভুক্ত করেছে আদালত। 

রোববার বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে চার্জশিটে বাদ পড়া আসামিদের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহ বাদীর নারাজি আংশিক গ্রহণ করেন। পরে বাদ পড়া আসামিদের মধ্য থেকে তিনজনসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

অন্তর্ভুক্ত আসামিরা হলেন- যমুনা টিভির প্রতিনিধি ফেরদৌস খান ইমন, সময় টিভির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম মিরাজ ও ছগির হোসেন টিটু।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক তালুকদার মাসুদসহ কয়েকজন সাংবাদিক কেরাম খেলতে যান। এ সময় প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল হাফিজসহ ১০-১২ জন সাংবাদিক কেরাম খেলতে বাধা দেন। প্রথমে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ঘটনাস্থলে তালুকদার মাসুদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

খবর পেয়ে বরগুনার ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তালুকদার মাসুদকে প্রথমে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করায় তারা। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়। পরে সুস্থবোধ করলে তালুকদার মাসুদকে বরগুনায় নিয়ে আসা হয়। 

সেখান থেকে আবার অসুস্থ হলে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয় হয়। সেখানেই মারা মান মাসুদ। 

এ ঘটনায় মাসুদের স্ত্রী সাজেদা সাজু বরগুনা থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ ডিসেম্বর ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। 

রোববার আদালতে বাদ পড়া ৮ জনের বিরুদ্ধে  নারাজি দেন বাদী। আদালত নারাজি ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনজনের বিরুদ্ধে নারাজি মঞ্জুর করেন; বাকি ৫ জনকে অব্যাহতি দেন।

মাসুদের স্ত্রী বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিকভাবে মামলা তদন্ত না করে ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। আমি অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে নারাজি দেই। আদালত আমার বক্তব্য ও ভিডিও চিত্র দেখে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সঞ্জিব দাস বলেন, সাংবাদিক তালুকদার মাসুদকে কেউ হত্যা করেনি। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন। এ কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যা মামলা হলেও ৩০২ ধারায় চার্জশিট না দিয়ে ৩০৪ ধারায় ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম