বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার রায় রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও হয়নি। এরপরও গ্রেফতার ও হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার দুপুরে শহরের চেলোপাড়া কালীমন্দিরের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। রোববার বিকালে সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন তাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রদীপ কুমার রায়ের ছোট ভাই মিলন কুমার ও স্বজনরা জানান, প্রদীপ কুমার রায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সহ-সভাপতি পদ পেলেও তিনি সক্রিয় ছিলেন না। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হত্যা বা নাশকতার কোনো মামলাও হয়নি। তাই তিনি অন্য নেতাদের মতো আত্মগোপন না করে শহরের চেলোপাড়ার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। প্রতিদিনের মতো প্রদীপ কুমার রায় শনিবার দুপুরে চেলোপাড়া এলাকায় কালীমন্দিরের পাশের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন।

এ সময় সদর থানা পুলিশ এসে তাকে জানায়, তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তখন প্রদীপ দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। মামলা থাকলে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন না। এরপরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। মামলা না থাকার পরও প্রদীপ কুমার রায়কে গ্রেফতার ও হত্যা মামলায় চালান দেওয়ায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার রায় একটি হত্যা মামলায় তদন্তে পাওয়া আসামি। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে কোন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে ওসি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।