Logo
Logo
×

সারাদেশ

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক, ব্যবস্থা নিচ্ছেন না উপজেলা প্রকৌশলী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১০ পিএম

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক, ব্যবস্থা নিচ্ছেন না উপজেলা প্রকৌশলী

ছবি: যুগান্তর

আমতলী উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসির ৪ হাজার ৩০০ মিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ও শাহীন তালুকদার এ নিম্নমানের কাজ করছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ জেনেও ঠিকাদারের এহেন কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, এ সড়ক বেশি দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। তাই দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসি সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করে বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগ। ওই কাজে তিন কোটি চার লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৪ টাকা বরাদ্দ হয়। ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই কাজের টেন্ডার হয়। বরেন্দ্র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায় কাজ। ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল কাজ শেষ হওয়ার কথা।

কিন্তু ঠিকাদার গত বছর জুন মাসে ওই সড়কের কিছু অংশের কাজের ম্যাকাডাম করে ফেলে রাখেন। কাজের মেয়াদ আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ করেননি। গত ডিসেম্বর মাসে ওই কাজ শুরু করেন। শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া ও পাথর দিয়ে কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

অভিযোগ এসেছে, ঠিকাদাররা দরপত্র অনুসারে সড়কের প্রস্ত ও গভীরতা দেয়নি। এ বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জানালেও তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ওই কাজের এক কিস্তির বিল ছাড় দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় বাচ্চু মিয়া ও কামাল হোসেন বলেন, এমন খোয়া দিয়ে বানানো সড়ক বেশি দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রুত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন তাতে সরকারি টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

ঠিকাদার শাহীন তালুকদার অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুই হাজার একশ মিটার সড়কের কাজ শেষ করেছি। বাকি কাজ দ্রুত শুরু করব। তিনি জানান, উপজেলা প্রকৌশলী কাজের বিল ছাড় দিলেও এখনো উত্তোলন করতে পারেননি।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছেন তার বিল ছাড় দেওয়া হয়েছে। বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী  হাসান খাঁন বলেন, কাজ করলে ঠিকাদারকে বিল ছাড় দিতেই হবে। তবে ঠিকাদার ওই সড়কের কিছু স্থানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছিল। পরিদর্শন করে ওই নিম্নমানের সামগ্রী পরিবর্তন করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম