সাদুল্লাপুরে ৫ যুবকের স্বপ্নভঙ্গ
বিদেশ নিয়ে নির্যাতন দেশে ফিরে সর্বস্বান্ত
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দিনমজুর পরিবারের পাঁচ যুবক। স্বপ্ন দেখছিলেন বিদেশ গিয়ে সংসারের অভাব ঘোঁচাবেন। এ জন্য প্রতিবেশী মিলন মিয়ার প্রলোভনে তার পরিবারকে প্রায় ২৩ লাখ টাকা দেন তারা। তারপর কাতারে গিয়ে প্রতারণা শিকার হয়ে দেশে ফিরেন।
এখন সর্বশান্ত হয়ে মানবেতর জীবযাপন করছেন। সম্প্রতি সরেজমিন দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা গ্রামে পাঁচ যুবক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আহাজারি করতে দেখা গেছে।
প্রতারণার শিকার যুবকরা হলেন-জামুডাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর খয়বর রহমানের ছেলে ছামিউল ইসলাম, আলমগীর হোসেনের ছেলে মশিউর রহমান, তাজুল ইসলামের ছেলে পাপুল মিয়া, মজিদ মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া ও সেকেন্দার আলীর ছেলে সোহেল রানা।
জানা যায়, মরুয়াদহ (কিশামত খেজু) গ্রামের বদিয়াজ্জামানের ছেলে মাহাবুর রহমান লিটন দীর্ঘদিন ধরে কাতারে থাকেন। কয়েক মাস আগে প্রতিবেশী ওই পাঁচ যুবককে কাতারে নেওয়ার প্রলোভন দেন লিটনসহ তার ভাই মিলন মিয়া। সরল বিশ্বাসে বদিয়াজ্জামানসহ তার ছেলে মিলন মিয়া ও মেয়েজামাই ফারুক মিয়াকে ওই যুবকরা প্রত্যেকে সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা করে মোট প্রায় ২৩ লাখ টাকা প্রদান করেন।
এরপর লিটন মিয়া ওই যুবকদের কাতারে নিয়ে কাজ ও বেতন নিয়ে প্রতারণা করাসহ শারীরিক নির্যাতন, পাসফোর্ট ব্লক এবং জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে প্রতারিত যুবকরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে ফিরে আসেন। এখন লিটনসহ বজিয়াজ্জামান গংদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়ায় তারা উলটো ভিকটিমদের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সোহেল রানা ও ছামিউল ইসলামসহ অন্যান্য যুবকরা জানান, কাতারে গিয়ে লিটনের প্রতারণার শিকার হয়ে তারা বাড়িতে ফিরেছেন। এ দিকে অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান লিটন মুঠোফোনে বলেন, ওই যুবকরা ফ্রি ভিসায় কাতারে যায়। সেখানে কাজের বেতন কম থাকায় তারা দেশে ফিরেছেন। এ জন্য তিনি দায়ী না।