Logo
Logo
×

সারাদেশ

চুরির পর রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা দিলেই মিলছে বিদ্যুতের মিটার

Icon

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

চুরির পর রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা দিলেই মিলছে বিদ্যুতের মিটার

রাজশাহীর বাঘায় বিদ্যুতের মিটার নিয়ে গ্রাহকরা রয়েছেন আতঙ্কে। এর মধ্যে কয়েকটি মিটার চুরি হয়েছে। চুরি যাওয়া মিটার পেতে চোরের চিরকুটে বিকাশ নম্বর রেখে যাচ্ছেন। এ নম্বরে টাকা দিলেই ফেরত পাওয়া যাচ্ছে মিটার।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মনিগ্রাম বাজারের সেলিম রাইচ মিল, মনিগ্রাম মাদ্রাসা মোড়ের নান্টু রাইচ মিল, তুলশীপুর খেরুর মোড়ে ইমরান রাইচ মিল, সরদার রাইচ মিলের বিদ্যুতের মিটার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। চুরি যাওয়া মিটারের জায়গায় পলিথিনে মুড়িয়ে বিকাশ নম্বর রেখে যায়। চিরকুটে লেখা ছিল মিটার ফেরত পেতে এই বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করুন।

এর আগে উপজেলার দিঘা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, বাউসা খাতের সাধুর মোড়ে জাফর আলী, খাগড়বাড়িয়া গ্রামের মাসুদ আলীর চাল কল, পিন্টু আলীর মিলের মিটার চুরি করে নিয়ে যায়। এখানেও এই বিকাশ নম্বর রেখে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে মনিগ্রাম বাজারের মিলের মালিক সেলিম হোসেন বলেন, ৩১ ডিসেম্বর এক রাতে ৪ জনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মিটার চুরি হয়ে যায়। পরদিন চিরকুটে রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করলে জানায় ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠালে মিটার ফেরত দিব। পরে দরকষাকষি করে ৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়। টাকা পাওয়ার পর মিল থেকে সামান্য দূরে এক জঙ্গলে মিটার রাখা আছে জানালে পরে সেখানে গিয়ে মিটারটি উদ্ধার করা হয়।

আরেক চাল কলের মালিক বাবুল আক্তার নান্টু বলেন, মিটার চুরির পর বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসকে জানালে থানায় অভিযোগ করতে বলেন। পরে বিদ্যুৎ অফিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কোনো উপায় না পেয়ে চোরের দেওয়া বিকাল নম্বরে টাকা পাঠিয়ে মিটার ফেরত পায়। পরে বিদ্যুৎ অফিসে টাকা জমা দিয়ে সংযোগ নিয়েছেন। দিঘা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ৬ হাজার টাকা দিয়ে ৮ দিন পর এক জঙ্গলে মিটার পেয়েছেন।

এ বিষয়ে বাঘা জোনাল অফিসের ডিজিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, মিটার চুরির বিষয়টি জানানোর পর থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। পরে গ্রাহকরা চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেলে সংযোগ দেওয়া হয়।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, মিটার চুরির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তবে যে বিকাশ নম্বরে টাকা নিচ্ছে সেই সিমের রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম