জয়পুরহাট জেলার কালাইয়ে আলুর খেত থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে কালাই থানা পুলিশ। নিহত মালেক খান ফটো উপজেলা বেগুনগ্রামের চশমায়ে উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত দফতরি ছিলেন। তিনি করিমপুর পূর্ব কুজাইল গ্রামের অফিল খানের ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে আলুর খেতে সার দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে মালেক খান ফটো (৬৫) মোটরসাইকেল নিয়ে স্থানীয় ত্রিমোহনী বাজার সার কিনেন। সার নিয়ে তার আলুর জমিতে রওনা দেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এদিকে মালেক খান বাড়িতে না আসায় তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশীর কাছে শুনতে পান কুজাইল দিঘীর দক্ষিণ পাশে বড় কোদাল নামক স্থানে একটি আলুর খেতে মালেক খানের লাশ পড়ে আছে। স্থানীয়রা কালাই থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মৃত মালেক খানের স্ত্রী জামিলা বেগম ও মেজো ছেলে সিদ্দিকুর রহমান জানান, তাদের সঙ্গে স্থানীয় এক পরিবারের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের কারণেই সম্ভবত এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, আলুর খেতে লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুহাট জেলা আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। সেই সঙ্গে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।