
প্রিন্ট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম
তাপমাত্রা কমেছে ২-৩ ডিগ্রি, হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের ভিড়

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
বছরের শুরুতে দ্বিতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। জেলায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কর্মজীবী মানুষের ওপর। শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে হাড়কাঁপানো শীত ও কুয়াশার মধ্যেই তাদের কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। আলু ক্ষেত ও ধানের বীজতলা রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে জেলার কৃষি বিভাগে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলো ডায়রিয়া রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে।
মৎস্য শ্রমিক রোবেল বলেন, কয়েকদিন ধরে যেভাবে শীত পড়ছে, ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছি না। পেটের দায়ে পুকুরে নামতে হচ্ছে।
ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, শীতের মধ্যে ঘর থেকে বাইরে বের হতে মন চায় না। কিন্তু ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। তাই বাইরে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে লোকজন নেই। যাত্রী পাচ্ছি না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার একই সময়ে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীতের কারণে কয়েক দিন ধরেই জেলার হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া ও মেডিসিন বিভাগে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে বেশি।
গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আলু ক্ষেত ও বোরো ধানের বীজতলা রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ধানের বীজতলা বিকালে সেচ দিয়ে পরের দিন সকালে পানি বের করে দিতে হবে। এছাড়া সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে রাতে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলা চাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আলু ক্ষেতে আগামধসা ও নাবিধসা ছত্রাক যাতে না লাগে, সে জন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, মাঝে কিছুদিন বিরতি দিয়ে জেলার ওপর দিয়ে আবারও শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন চলতে পারে।