Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুয়াকাটা সৈকতে দূষণ রোধে নজর কেড়েছে নান্দনিক ডাস্টবিন

Icon

নাঈম হোসেন, কুয়াকাটা থেকে ফিরে

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ পিএম

কুয়াকাটা সৈকতে দূষণ রোধে নজর কেড়েছে নান্দনিক ডাস্টবিন

ছবি: যুগান্তর

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নজর কেড়েছে বেশ কয়েকটি নান্দনিক ডাস্টবিন। মাছ, বোতল ও নৌকা আকৃতির এ ডাস্টবিনগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করছে। 

জানা গেছে, সামুদ্রিক বর্জ্যের ধরন নির্ণয়ের লক্ষ্যে গবেষণার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ঘোস্ট গিয়ার ইনটিশিয়েটিভ অ্যান্ড ওশান কনজারভ্যান্সি সংস্থার সহায়তায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট ও এর আশপাশে বড় ধরনের চারটি ডাস্টবিন স্থাপন করেছে করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগ। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টিল দিয়ে তৈরি মাছ আকৃতির বড় ডাস্টবিনটি বসানো হয়েছে কুয়াকাটা চৌরাস্তায়, বড় বোতল আকৃতির ডাস্টবিন বসানো হয়েছে সৈকত লাগোয়া চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে এবং মাছধরা ট্রলার আকৃতির ডাস্টবিন বসানো হয়েছে জিরো পয়েন্টে। অপর ডাস্টবিনটি বসানো হয়েছে ফিস ফ্রাই মার্কেটে। ইতোমধ্যে এসব ডাস্টবিন ব্যবহার করতে শুরু করেছেন পর্যটকসহ ব্যবসায়ীরা। এছাড়া প্রতিমাসে এখান থেকে দুই বার ডাটা সংগ্রহ করছেন গবেষকরা। 

সৈকতে বেড়াতে আসা দর্শনার্থী ইমরান হোসেন ও মো.আল-আমিন জানান, দেখতে সুন্দর হওয়ায় ডাস্টবিনগুলো ব্যবহারে উৎসাহী হচ্ছেন সবাই। স্থানীয়দের প্রত্যাশা পর্যটক,ব্যবসায়ী এবং জেলেরা এই ডাস্টবিনগুলো ব্যবহার করলে সমুদ্র দূষণ কমে আসবে। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. সাজেদুল হক যুগান্তরকে বলেন, প্লাস্টিক ও পলিথিন যত্রতত্র ফেলায় দূষিত হচ্ছে সমুদ্র। এছাড়া, জেলেদের ছেঁড়া জাল পানিতে ফেলার কারণেও দূষণ বাড়ছে। তাই গবেষণা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে উপকূলে প্লাস্টিক দূষণ কমাতে এ ডাস্টবিনগুলো স্থাপন করেছেন তারা। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতেই মূলত ব্যতিক্রমী আকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম