
প্রিন্ট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম
আ.লীগের ৫০০ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম

আরও পড়ুন
ককটেল বিস্ফোরণ, মারপিট ও বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে ঠাকুরগাঁও আওয়ামী লীগের ২৯৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় আরও অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান।
মামলার বাদী জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু জানান, গত ১০ দিন আগে তিনি থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন। দলের সিদ্ধান্তে এ মামলার বাদী তিনি হন। তবে তিনি মামলার অনেক আসামিকে চিনেন না বলে জানান এই মামলার বাদী।
থানায় মামলা হওয়ার খবর শুনে, এই মামলার এক আসামি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে নতুন বছরে উপহার দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, মির্জা ফখরুলের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিন ঠাকুরগাঁ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার ইশারা ইঙ্গিতেই সব হচ্ছে।
তবে এ ব্যাপারে মির্জা ফয়সলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে ১নং আসামি করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ২নং আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা ও ৩নং আসামি করা হয় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যাকে ও সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালাকে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত ২৯৪ জনসহ অজ্ঞাত নামা ৫০০ আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় মামলার বাদী সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডুসহ তার লোকজনের ওপর হামলা করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ও ধাওয়া দিতে থাকে। আসামিদের সঙ্গে থাকা পিস্তলের ছোড়া গুলিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে গুরুতর আহত হন। আসামিদের তাণ্ডবে সেই সময় মামলার বাদী শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে দৌড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় আসামিরাও বিএনপি অফিসের চারপাশে অবস্থান নেন। তারা ককটেল বিস্ফোরণ করলে বিএনপির এই নেতা প্রাণ রক্ষার্থে পার্টি অফিসে প্রবেশ করলে আসামিরা প্লাস্টিকের বোতলের পেট্রল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে অফিসে আলমারিতে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্রসহ অফিস বিল্ডিংয়ের অবকাঠামো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে পার্টি অফিসের ৫টি ল্যাপটপ, ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, একাধিক চেয়ার-টেবিল ও ৩টি এসি অঙ্গার হয়ে যায়। আনুমানিক ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এবং সাক্ষীদের শারীরিক অবস্থা বেগতিক হলে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়ে বিলম্ব হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. শহিদুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু নামে এক ব্যক্তি ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যারা হামলায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।