ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জে বছরের শুরুতে প্রথম ও দ্বিতীয় দিন শেষে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা আংশিক বই পেলেও কোনো বই পায়নি প্রাক-প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও ১০ম শ্রেণিতে ৩টি করে বই পেলেও সপ্তম, অষ্টম, ৯ম শ্রেণির বই কেউ পায়নি।
যেসব শিক্ষার্থী নতুন বই পেয়েছে তারা খুশি মনে বাড়ি ফিরলেও চাহিদা অনুযায়ী বই না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, নবাবগঞ্জ উপজেলায় একশ ত্রিশটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ১ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ বই ও প্রাক-প্রাথমিকের (শিশু শ্রেণির) ৬ হাজার ৩শ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বছরের প্রথম দিনে ১ম ও ২য় শ্রেণির ৩টি করে বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ বইয়ের চাহিদার একটি বইও পায়নি শিক্ষার্থীরা। কবে বই পৌঁছবে সেটি নিশ্চিত নন শিক্ষা কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে দেওয়া সম্ভব হয়নি নতুন বই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজালাল জানান, চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক বই সরবরাহ করতে না পারায় সব শিক্ষার্থীর মাঝে বই সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলার ৪১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা প্রায় ৪ লাখ। ৫টি মাদ্রাসা ও ১৫টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় চাহিদা প্রায় ৫ হাজার বইয়ের। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ ও ১০ম শ্রেণির তিনটি করে বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। ৭ম, ৮ম, ৯ম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থীকে এখনো কোনো বই দিতে পারিনি। এছাড়া কারিগরিসহ অন্যান্য শ্রেণির নতুন কোনো বই এখনো হাতে পাইনি। তবে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যেই তাদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে দোহার উপজেলায় সরেজমিন দেখা যায়, ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হলেও প্রাক-প্রাথমিক, ৪র্থ ও ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে কোনো বই তুলে দিতে পারেনি দোহার শিক্ষা অফিস।