রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬ নেতা। আত্মসমর্পণ করে তারা জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

মামলার এজাহারভুক্ত ওই ৬ আসামি হলেন- গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফকির আব্দুল কাদের, তার শ্যালক পৌর আওয়ামী লীগের অপর সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুবুর রাব্বানী, উজানচর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম মাহবুব রাব্বানীর ভাগনে মো. রবিউল ইসলাম এবং গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল, রুবেলের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আ. হাই মোল্লা ও চাচা মান্নান মোল্লা।

এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর আদালতে জামিন আবেদন করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রুবেল, তার বাবা আ. হাই মোল্লা ও চাচা মান্নান মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এছাড়া ১ জানুয়ারি বুধবার অপর তিনজন একইভাবে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

৬ জনের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম। 

পুলিশ ও আদালত সূত্রে গেছে, গত ৪ আগস্ট গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকায় ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী মিছিলে হামলা ও অনেককে আহত করার ঘটনা ঘটে। এর ৪ মাস পর গত ১০ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবিদার মো. শরিফুল ইসলাম নামক এক যুবক বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গোয়ালন্দ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আসামি করা হয়। 

ইতোপূর্বে এ মামলায় গ্রেফতার হন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইউনুস হোসেন মোল্লা ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল। ইউনুস হোসেন মোল্লা ইতোমধ্যে জামিন লাভ করেছেন। এ মামলা নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।