শিশুরোগী ও তার বাবার সঙ্গে খারাপ আচরণ, বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২২ পিএম
বাগেরহাটে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শিশুরোগী ও তার বাবার সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই শিশুর বাবা সৈয়দ আলী আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলী আহমেদ জানান, গত ২৮ অক্টোবর আমি আমার শিশুকন্যা জেরিন আক্তারকে (১৪) সঙ্গে নিয়ে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আবু জাফর মো. সালেহকে দেখাতে যাই। টিকিট কেটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে আমার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তারের রুমে ঢুকি, এ সময় ডাক্তারের সহকারী আমাকে বসতে বললে সামনে ফাঁকা চেয়ারে আমি বসতে গেলে ডাক্তার আমাকে চিৎকার করে বলেন এখান থেকে বেরিয়ে যান। আমি হতবাক হয়ে চেয়ারে না বসে আমার মেয়েকে বসতে বলি, আমার মেয়ে হতভম্ব অবস্থায় ডাক্তারের সামনে বসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি খুব উচ্চস্বরে ও রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন- তোর কী হয়েছে বল, তখন মেয়ে ভয়ে চুপ করে থাকলে আমি মেয়ের গায় হাত বুলিয়ে তার সমস্যার কথা বলতে বলি। তখন আমার মেয়ে জেরিন তার অসুস্থতার একটা কারণ বলার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন; কিন্তু অন্য সমস্যাগুলো শোনে না। এমন পরিস্থিতিতে আমি কোনোমতে আমার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তারের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসি।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার সমাদ্দারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করি। তাতে কোনো সুরাহা না পেয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে আমাকে ঘুরিয়ে কোনো সমাধান না দেওয়ায় আমি বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে আপনাদের শরণাপন্ন হলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সরকারি চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিজ কন্যাসন্তান ডাক্তার দ্বারা খারাপ আচরণের শিকার হবে- তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। একজন ডাক্তারের আচরণ এত বাজে হতে পারে এটা আমার চিন্তায় আসে না। আমি আপনাদের মাধ্যমে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত দাবি জানাই।
এ সময় সৈয়দ আলী আহমেদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল মেয়ে জেরিন আক্তার।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডা. আবু জাফর মো. সালেহের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।