ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচিতে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শহিদ মিনার চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা প্রশাসন পরবর্তী সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শফিক রেজার নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়। পরে মিছিলটি ভাণ্ডারিয়া বাজারের শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়কে পৌঁছলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহীরাজ ও পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামীম ফরাজীসহ ছাত্রদলের একটি অংশ তাদের রিজার্ভ পুকুরপাড়ে আয়োজিত সভা মঞ্চে যেতে বাধা প্রদান করেন।
এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়; উভয় গ্রুপ পাইপ, লাঠি চাইনিজ কুড়াল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহাতাব হোসেন সজিব (৩৮), মো. বাকী বেপারী (৩৫), সুজন বেপারী (৩১), নবীন ফরাজী (১৮), লোকমান সরদার (৩৮) ও মিজান হাওলাদার (৩৮) আহত হয়েছেন। আহত মিজান হাওলাদারকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল এবং বাকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ আনওয়ারসহ থানা পুলিশের একটি দল এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার নেতৃত্বে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ বিকালের সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দেয়। আহত মাহাতাব হোসেন সজিব জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় শাহীরাজ ও শামীম গ্রুপ।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মনির হোসেন আকন জানান, গত ১০ দিন ধরে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচি পালন করার জন্য ছাত্রদলের উদ্যোগে প্রস্তুতি নেওয়া হয় এবং বুধবার বিকালে রিজার্ভ পুকুরপাড়ে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহীরাজ এবং উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব শামীম হাওলাদার পৃথক কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেয়। এ কারণে দুই গ্রুপকে কর্মসূচি পালনের জন্য পৃথক সময় নির্ধারণ করেও দেওয়া হয়।
সকালে ছাত্রদলের সদস্য সচিব শফিক রেজার নেতৃত্বে ছাত্রদল তাদের নির্ধারিত সময় মিছিল নিয়ে বাজারে প্রবেশকালে ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহীরাজ উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব শামীম হাওলাদারের নেতৃত্বে ছাত্রদল ও যুবদলের একাংশের নেতা কর্মীরা এ হামলা চালায়।
উপজেলা যুবলের সদস্য সচিব (বহিষ্কৃত) মো. শামীম হাওলাদার জানান, এ কর্মসূচি ছিল ছাত্রদলের, এটা যুবদলের নয়। আমিসহ যুবদল নেতারা সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করেছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. সাখাওয়াত হোসেন (মঠবাড়িয়া সার্কেল), ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন আরাফাত রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।