
প্রিন্ট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে বরগুনায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম

আরও পড়ুন
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ইমাম গাজীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এতে শোক প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘদিন লিভারের জটিলতায় ভুগে বুধবার ভোর ৫টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের বরগুনা জেলার একজন একনিষ্ঠ নেতা ছিলেন ইমাম গাজী। হঠাৎ তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরে চিকিৎসকের দেওয়া পরীক্ষায় তার লিভারজনিত সমস্যা শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইমামকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি গোলাম রাসেল খোকন বলেন, ইমাম আমাদের সঙ্গে দলের সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করত। বুধবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে তাকে হারিয়েছে। দলের দুর্দিনের সঙ্গীকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।
জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সালেহ আরাফাত বলেন, এমন একটি দিনে ইমামের মৃত্যুর খবর পেয়েছি যে দিনটি আমাদের ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বিগত সময়ে আমরা আমাদের কোনো কর্মসূচিই ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। দীর্ঘ আন্দোলনের পর বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। বাধাহীন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে ছাত্রদল নেতা ইমামকে হারিয়ে আমারা শোকাহত।
বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়জুল মালেক সজিব বলেন, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের এক ত্যাগী কর্মীকে হারিয়েছি। দলের দুর্দিনে ইমাম আমাদের সঙ্গেই ছিল। জেলা ছাত্রদল ইমামের মৃত্যুতে শোকাহত।