ইংরেজি বছরের শেষ দিনে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণসহ কোলাহলমুক্ত পরিবেশে বাংলাদেশে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করতে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড (বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা) সুন্দরবনে পৌঁছেছেন ৮টি দেশের ৩৮ জন বিদেশি ইকোট্যুরিস্ট। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায় ৬ বার রূপ বদলানো জীববৈচিত্র্যের আধার দেশের অফুরন্ত অক্সিজেনের ভাণ্ডার ম্যানগ্রোভ এই সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর আধিক্য থাকা বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক ট্যুরিস্ট লঞ্চে করে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের এসব ইকোট্যুরিস্টরা।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবনে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের ৩৮ জন ইকোট্যুরিস্ট এখন ম্যানগ্রোভ এই বনে অবস্থান করছেন। সুন্দরবনে এসব বিদেশি ইকোট্যুরিস্টরা লঞ্চে করে এখন কটকা-কচিখালী, হিরনপয়েন্ট, দুবলা, নীলকমল, করমজল ও মান্দারবাড়িয়ায় অবস্থান করছেন। ৮টি দেশের এসব ইকোট্যুরিস্টরা লঞ্চে করে নদ-নদীতে থেকে অফুরন্ত অক্সিজেনের ভাণ্ডার ম্যানগ্রোভ এই বনে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করবেন। সুন্দরবনে পর্যটনের সব নীতিমালা মেনেই শব্দদূষণ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষতি না হয় এমন দূষণমুক্ত অবস্থাই এসব বিদেশি ইকোট্যুরিস্টরা ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত জিরো আওয়ারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করবে।

বিদেশি এসব ইকোট্যুরিস্টদের পাশাপাশি প্রায় আড়াইশ দেশি পর্যটকও থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করতে সুন্দরবনে পৌঁছেছেন। সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি এসব ইকোট্যুরিস্টদের থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে বন বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করছে।