Logo
Logo
×

সারাদেশ

গণধর্ষণের পর ইউপি সদস্যকে হত্যা, প্রধান আসামির রিমান্ড চায় পুলিশ

Icon

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পিএম

গণধর্ষণের পর ইউপি সদস্যকে হত্যা, প্রধান আসামির রিমান্ড চায় পুলিশ

নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের এক নারী সদস্যকে (৫০) গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার রাতে সদর থানায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আরও দুজনকে।

এদিকে এ মামলায় আটক প্রধান আসামি মো. ফারুক হুসাইন মোল্যাকে (৫০) রোববার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। নড়াইলের আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।

নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় আসামিরা হলেন- নড়াইল সদরের দৌলতপুর গ্রামের ওসমান মোল্যার ছেলে মো. ফারুক হুসাইন মোল্যা (৫০), আইয়ুব আলীর ছেলে রজিবুল মোল্যা (৩০), সাত্তার মোল্যার ছেলে চঞ্চল মোল্যা (৩৫) এবং শহিদ মোল্যার ছেলে শফিকুল মোল্যা (৩৩)।

জানতে চাইলে নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, ওই নারী ইউপি সদস্যকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে গণধর্ষণ ও বিষপ্রয়োগে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আটক মো. ফারুক হুসাইন মোল্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে আত্মগোপনে থাকা এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফারুক মোল্যাকে শনিবার ভোরে মাগুরা জেলার শালিখা থানার হরিশপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

স্বজনদের দাবি, মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য বাসনা মল্লিক (৫২) মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে টিসিবির মালামাল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাওনা টাকার জন্য রাজিবুল নামে এক ব্যক্তি ফোনে ডেকে নেন তাকে। এরপর মাইজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার বাড়িতে থাকা রাজিবুলের কাছে গেলে কয়েকজন তাকে গণধর্ষণ করে।

ঘটনাটি বাসনা মল্লিক সবাইকে জানানোর হুমকি দিলে তৎক্ষণাৎ মুখে বিষ ঢেলে দেয় অভিযুক্তরা। বাড়ি ফিরে ভয়ে কাউকে কিছু জানাননি ভুক্তভোগী। পরেরদিন বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়লে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মারা যান তিনি।

মৃত্যুর আগে ছেলের নিকট নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলে গেছেন তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম