এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার দুর্ঘটনা
ঘষামাজা করে আগের দিন নামানো হয়েছিল বাসটি
যুগান্তর প্রতিবেদন, মুন্সীগঞ্জ ও শ্রীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় ছয়জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া বাসটির ফিটনেস ছিল না। দুর্ঘটনার ঠিক আগের দিন ঘষামাজা করে বাসটি রাস্তায় নামানো হয়েছিল। হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার ডক্টর আ ক ম আখতারুজ্জামান বসুনিয়া রোববার মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাসারা হাইওয়ে থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
আখতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, এ ঘটনায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সড়ক পরিবহন আইনে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের নিহত আমেনা আক্তারের বড় ভাই মো. নুরুল আমিন এ মামলা করেন। আমরা ইতোমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছি। তারা হলেন- চালক মো. নুর উদ্দিন এবং ঘাতক বেপারী পরিবহনের মালিক মো. ডাবলু বেপারী। পলাতক আরও আসামি রয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চালককে আটক করার পর তার ডোপ টেস্ট করেছি। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গাড়িটি আগের দিন ঠিকঠাক করে রাস্তায় নামানো হয়। গাড়ির ফিটনেস নেই। এক বছর আগেই ফিটনেস মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গাড়ির ব্রেক ঠিক আছে দেখা গেছে। তবে বিআরটিএর বিশেষজ্ঞরা এর রিপোর্ট দেবেন।
আখতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, এ দুর্ঘটনার দায় চালক, মালিক কেউ এড়াতে পারেন না। হাইওয়ে পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে চালককে তার ফুপুর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার দিন ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার জন্য মাওয়াগামী ৩নং লেনে অপেক্ষায় ছিল একটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার। পেছন থেকে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বেপারী পরিবহণের বাসটি ধাক্কা দেওয়ায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। প্রাইভেটকারের চারজন এবং মোটরসাইকেলের দুজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় ১১ জন গুরুতর আহত হন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে হাসারা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জিলানী উপস্থিত ছিলেন।