Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাঘায় জলাবদ্ধতায় ৫০০ একর জমির রবি ফসল চাষ হুমকিতে

Icon

আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী)

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম

বাঘায় জলাবদ্ধতায় ৫০০ একর জমির রবি ফসল চাষ হুমকিতে

রবি ফসল চাষের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। কৃষকদের এখন জমি তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকার কথা; কিন্তু বিলের পানি রয়ে গেছে। বিলে জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৫০০ একর জমিতে রবি ফসলের চাষ শুরু করা যায়নি। ফলে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা বিরাজ করছে। 

অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে বিল থেকে পানি নামছে না। ইতোমধ্যে পুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কৃষকরা লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বলিহার, আড়পাড়া, তেথুলিয়া, নওটিকা, আরিফপুর, ধন্দ, আমোদপুর, হরিপুর, বেড়েরবাড়ি, খুদে ছয়ঘটি, জোতরাঘব, চন্ডিপুর, পাকুড়িয়া, মনিগ্রাম, গড়গড়ি, হাবাসপুর বিলে পানি না নামায় কৃষকরা এ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। এতে রবি ফসল চাষ নিয়ে দুশ্চিস্তায় রয়েছেন চার শতাধিক কৃষক। 

এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, প্রতিটি বিলের পানি প্রবাহের স্থানে অপরিকল্পিত পুকুর খনন করা হয়েছে। এ কারণে পানি প্রবাহিত মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। বিলে পুকুর খনন করে সেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফলে বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বিলের প্রায় ৫০০ একর জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। সেখানে এখনও রয়েছে হাঁটুপানি। এমনকি কোথাও কোমর পানিও রয়েছে। ফলে কৃষকরা রবি ফসল চাষ শুরু করতে পারছে না। এসব জলাশয়ে পুকুর খনন করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করছেন।

বাউসা কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম নান্টু বলেন, প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কারণে কয়েকশ কৃষককে জিম্মি করে বিলের পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছেন। জিম্মি কৃষকদের পক্ষে পানি নামার পথ উন্মুক্ত করে দিতে গেলে পুকুর মালিকদের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়।

আড়ানী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়ে কৃষক ও পুকুর মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেও কোনো সমাধান করা যায়নি। অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব পুকুরের মালিক অত্যন্ত প্রভাবশালী।

তেঁতুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মাউদপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম বাদশা, আড়পাড়া গ্রামের মানিক হোসেন, আনোয়ার হোসেন পলাশ বলেন, আড়াপাড়া বিলসহ শতাধিক কৃষকের ৩-৪ হাজার আমগাছের গোড়ায় পানি জমে মরে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে উপজেলার সমন্বয় সভায় উপস্থাপনা করে নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম