ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক ব্যবসায়ী এনজিওর দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নড়িয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।আত্মহত্যাকারী হলেন- ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়ারা গ্রামের কালাচান বেপারীর ছেলে আলী আজগর বেপারী(৪৮)।
নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম ও নড়িয়া থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়ারা গ্রামের লেপতোশকের ব্যবসায়ী আলী আজগর বেপারী দীর্ঘদিন যাবত ঘড়িষার বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য স্থানীয় আশা, ব্র্যাক, সাজেদা ও নুসা নামক এনজিও থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা ঋণ করেন। প্রতি মাসে ৮০-৯০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়।
ঋণ গ্রহণের পর থেকেই কষ্ট করে কিস্তি পরিশোধ করে এলেও চলতি মাসে কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে বেড়ান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই সে নিখোঁজ হয়। তাকে অনেক খোঁজ করে কোথাও পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে স্থানীয়রা তাকে বাড়ির পাশে আমগাছের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয়রা নড়িয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই আক্কাস বেপারী বলেন, আমার ভাই আলি আজগর বেপারী স্থানীয় আশা, ব্র্যাক, সাজেদা ও নুসা নামক এনজিও থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। প্রতি মাসে ৮০-৯০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। ঋণ গ্রহণের পর থেকে কষ্ট করে কিস্তি পরিশোধ করে এলেও চলতি মাসে কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে বেড়ায়। গতকাল রাতে সে আত্মহত্যা করে।
নড়িয়া থানার এসআই খায়রুল লস্কর বলেন, ঘড়িসার বাজারের লেপতোশক ব্যবসায়ী আলি আজগর বেপারী বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিল বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। এ কারণেই তিনি চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে পারেন। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।